Welcome to Monster Area

দুনিয়া ও আখিরাত জীবনের সফলতা অর্জন


অনেকের মনে একটা কমন প্রশ্ন রয়েছে আর তা হলো, গুনাহ থেকে বাচবো কিভাবে???
---------------------------------------------------------------------------------------------------
আমরা অনেক সময় ভাবি গুনাহ করবো তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো।এভাবেই চলবে।কিন্তু তাতে গুনাহ বারতেই থাকে।ক্ষমা আর নেওয়া হয় না বা নিতে পারি না বা আল্লাহ অসন্তুষ্ট থাকেন আমাদের প্রতি।তাই আমাদের নিজেদের চেষ্টা করতে হবে গুনাহ থেকে বাচার জন্য।কারন আল্লাহ ততক্ষণ আমাদের সাহায্য করবেন যতক্ষণ আমরা নিজেদের সাহায্য করবো
নিচে কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো যা দ্বারা আমরা নিজেদের গুনাহ থেকে হেফাজত রাখতে পারবো
. প্রথমেই আমাদের জানতে হবে কোনগুলো গুনাহ এর কাজ।জানতে হবে হালাল হারাম সম্পর্কে।এসব যদি না জানি তবে গুনাহ থেকে বাচা একদম সম্ভব না।কারন সচরাচর আমরা অনেক কাজ করি যা গুনাহের কাজ মনে করিনা। যেমন- নাটক দেখা, খেলা দেখা, গান শোনা, চাপাবাজি, অযথা হাসি তামাসা করে সময় নষ্ট করা, সবচেয়ে ভয়াবহ হলো গীবত।আমরা বুঝতেই পারিনা যে গীবত হয়ে যাচ্ছে।যে কোন কাজই গুনাহের কাজ যদি তাতে দ্বীন না দুনিয়ার ফায়দা না থাকে।এখন বলুন তো খেলা দেখা,গান শোনার মধ্যে কোন উপকার আছে কি না? এমনকি হার জিত আছে এমন সব খেলাই হারাম
. আমরা যখন কোন গুনাহ এর কাজ করতে যাবো বা করছি এমন সময় ভাবা উচিত যদি এই গুনাহ করা অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে কি জান্নাত পাবো?জান্নাত হয়তো একদিন পাবো কিন্তু কত কাল যে জাহান্নামে থাকতে হবে সে হিসাব আমরা করতে পারবো না
. আমরা আল্লাহর কথা শুনলে তা আল্লাহর উপাসনা আর গুনাহ এর কাজ করা মানে শয়তানের কথা মানা। আর শয়তানের কথা মানা হলো শয়তানের উপসনা।আমাদের গুনাহ করার সময় ভাবা উচিত, আমি কি কখনো চেয়েছি/চাই শয়তানের উপাসনা করতে??? আল্লাহ হয়তো সরাসরি আমাদের মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত করছেন না।কিন্তু আমাদের বিবেক কি বলে?নিজেকে উত্তর দিন
. যখন কোন গুনাহ এর কাজ সামনে উপস্থিত হবে তখন আমাদের খুশি হতে হবে এই ভেবে যে, এইতো আমার আল্লাহ আমাকে পরীক্ষা করবেন এখন,আমাকে পরীক্ষা দিতে হবে আর উত্তীর্ণ হয়ে মহান আল্লাহ সুবহানুতালা কে খুশি করতে হবে।বিপরীত তা করলে আমরা শয়তানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
মনে রাখতে হবে, আল্লাহ আমাদের অবশ্যই ঈমানের পরীক্ষা নিবেন।পরীক্ষা নিয়েই জান্নাতের উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করবেন।আর এই পরীক্ষা শুধু নামায রোযা দিয়ে হয় না।কারন ঈমান যদি পরিমাপ করা যেতো তাহলে দেখা যেতো নামায রোযার জন্য যদি ১কেজি ঈমান লাগে তবে মনের কুপ্রবৃত্তির সাথে লড়াই করার জন্য ১০০ কেজি ঈমান দরকার।কথাটা ভালো করে ভেবে দেখা উচিত আমাদের।যেমন-দেখবেন অনেক ওয়াক্ত নামাজি আছে কিন্তু প্রতিনিয়ত হারাম কাজের উপরই সে প্রতিষ্ঠিত।নামাজি কিনতু সিগারেট খায়, পান খায়, টিভি দেখে, দাড়ি নাই,মোচ রাখছে,সুদ খায়, ঘুষ খাও,তার মেয়ে বেপর্দা ইত্যাদি ইত্যাদি।তাই যা বলছিলাম, গুনাহ এর কাজ মাথায় আসলে আমাদের ভাবা উচিত আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন আর অঢেল পুরস্কারের আশায় সেই গুনাহ এর কাজ পরিত্যাগ করে উত্তীর্ণ হতে হবে
এই নিয়মগুলো আপনার জীবনে অনুশীলন করুন।ভাববেন না একটা গুনাহ থেকে বাচা ছোট একটা কাজ,এটা আমাকে জান্নাতে পৌছানোর জন্য যথেষ্ট না।এটা ভুল আর শয়তানের ধোকা।আল্লাহ তালা এই ছোট্ট কাজের জন্যই আপনাকে হিদায়াত দিতে পারেন,সঠিক জ্ঞান দিতে পারেন যা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ হবে।তাই শুধু ভাববেন না নামাজ রোজা দিয়েই পার পেয়ে যাবো।আল্লাহর প্রত্যেক বিধান মানতে হবে
আপনি মানুষকে নামাজের দিকে ডাকুন,তারা কোন ঝামেলা করবে না,হয়তো তাদের কেউ সাড়াও দিবে।কিন্তু আপনি সুদ-ঘুষ হারাম এইটা বলুন,তখন দেখবেন পারলে আপনাকে এলাকা ছাড়া করবে।তাই নামাজ রোজাতেই ঈমানের পরীক্ষা সম্পন্ন হয় না।তাই আমরা চেষ্টা করবো ছোট ছোট গুনাহ এর কাজ হলেও তা সমুলে প্রতিহত করে দুনিয়া আখিরাত জীবনের সফলতা অর্জন করবো

Comments

Post a Comment